Header Ads

Header ADS

facebook hacking part 1

 আপনারা যদি জানেন কিভাবে আপনার ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করা হয়.  তাহলে আপনি আগের থেকে আরও বেশি আপনার একাউন্ট কে শক্তিশালী করতে পারবেন।  তাই আজকে আমি আপনাদেরকে এটি জানাব কিভাবে আপনাদের ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হতে পারে।  এবং আপনাদের ফেসবুক একাউন্টকে আপনারা কিভাবে সিকিউর করতে পারবেন। 

তখন ওরা চলুন একটি পরিসংখ্যান দেখে আসা যাক। 

2020 সালের অক্টোবরে একটি পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, পুরো পৃথিবীতে 310 মিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ইউজার শুধুমাত্র ইন্ডিয়াতে রয়েছে। আর এই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাংলাদেশে 39 মিলিয়ন এর কাছে পৌঁছেছে। পাকিস্তানেও ঠিক বাংলাদেশের মতোই 39 মিলিয়ন মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। 

আর বাংলাদেশের একটি অন্যতম ফেসবুক পরিসংখ্যান থেকে জানা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর মাঝে -- ২৬.২% মহিলা, আর বাকি ৭৩.৮% হচ্ছেন পুরুষ। অথচ এই বিপুল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাঝে, মাত্র 3% মানুষ মানে ১০০ জনের মাঝে মাত্র ৩ জন মানুষ জানেন তার ফেসবুক একাউন্টে কিভাবে নিরাপদে রাখতে হবে।

আর এই ব্যাপারটি সত্যিই খুব দুঃখজনক এবং আশঙ্কাজনক। তাই আমাদের সবাইকে এটা জানতে হবে যে আমাদের ফেসবুক একাউন্টে কে নিরাপদে রাখার জন্য কি কি কাজ করতে হবে এবং কিভাবে আমাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে নিরাপদে রাখা যায়। আর এই জিনিসগুলো আপনি করতে পারবেন  যখন আপনি জানবেন একটি ফেসবুক একাউন্ট কিভাবে হ্যাক হয়।  আর আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে এ সম্পর্কে আলোচনা করব তাই পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

 আপনি যদি চান আমাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন,  আমরা সেখানে প্রতিনিয়ত টেকনোলজি রিলেটেড,  হ্যাকিং রিলেটেড,  এবং সোশ্যাল মিডিয়া,  ইউটিউব রিলেটেড,  এবং বিভিন্ন ধরনের কোর্স নিয়ে আলোচনা করে থাকি এবং ভিডিও পাবলিস্ট  করে থাকিঃ

আমাদের ইউটিউব চ্যানেলঃ https://www.youtube.com/channel/UCs6BkgpPV_a19F2JN3zEpgw

ফেসবুক হ্যাক করার জন্য বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে  বেশি যে পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তার নাম হচ্ছে ফিশিং।  তো চলুন আমরা এখন জেনে আসি এই ফিশিং অ্যাটাক কি এবং এটি কিভাবে কাজ করে

অনলাইন জগতে আপনার অ্যাকাউন্টটি হ্যাক করার জন্য যে সাকসেসফুল হ্যাকিং টেকনিক কি রয়েছে সেটি হচ্ছে ফিশিং। ফিশিং কি?

সাধারণভাবে বলতে গেলে ফিশিং হচ্ছে,  আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড আপনার থেকে হ্যাকাররা চুরি করে। 

ফিশিং এর জন্য হ্যাকাররা ফেসবুকের মতোই একটি পেইজ তৈরি করবে যদি ফেসবুক হ্যাকিং হয়ে থাকে।  আপনি তাদের লিংকে ক্লিক করলে তাদের ওয়েবসাইটে চলে যাবেন,  কিন্তু আপনি মনে করবেন এটি হচ্ছে ফেসবুকের নিজস্ব ওয়েবসাইট।  তাই আপনি আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড সেখান দিয়ে দেবেন এবং লগিং এর উপরে ক্লিক করবেন।  আর তখনি আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড হ্যাকার দের হাতে চলে যাবে।  তারা আপনাকে ফেসবুকে রি-ডাইরেক্ট করে দেবে।  আপনি আবার ফেসবুকে চলে আসবেন কিন্তু সেখানে আপনি লগইন পেজে চলে আসবেন ফেসবুকে আবার যখন আপনি লগইন করবেন তখন আপনি আপনার  মেইন ফেসবুক প্রোফাইলে ঢুকে যাবেন।  কিন্তু আপনি বুঝতে পারলেন না যে এর মধ্যেই আপনি আপনার ইউজারনেম এবং পাসওয়ার্ড অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছেন।

আর এই পদ্ধতিটির নাম হচ্ছে ফিশিং অ্যাটাক।

www.facbook.com

www.facebooc.com

www.fakebook_login.com

www.fakebook.com

হ্যাকাররা সাধারণত এই ধরনের ওয়েব এড্রেস গুলো ব্যবহার করে  আমাদেরকে বোকা বানিয়ে থাকে। আর এই সমস্যার থেকে যদি আপনি পরিত্রান পেতে চান তাহলে আপনার একটি কাজ করতে হবে সেটি হচ্ছে আপনি যখন ব্রাউজারে ব্রাউজ করবেন তখন আপনার ব্রাউজারের লিনক অ্যাড্রেস এ কোন লিংক রয়েছে সেটা একবার ভালোভাবে চেক করে নেবেন।  যেমন আপনি ফেসবুকের জন্য www.facebook.com  ছাড়া অন্য কোন এড্রেসে গিয়ে ফেসবুকের লগইন করবেন না।  সে ক্ষেত্রে আপনি ফিশিং অ্যাটাক এর শিকার হতে পারেন। Think before Click

ফিশিং হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে সাকসেসফুল একটি পদ্ধতি, যেটা আবার এতটা সহজ নয়। ফিশিং অ্যাটাক এর মাধ্যমে আপনি যেকোন অ্যাকাউন্ট চাইলেই হ্যাক করতে পারবেন। আর ফিশিং অ্যাটাক দেয়ার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে skril প্রয়োজন হয় সেটি হচ্ছে সোস্যাল ইন্জিনিয়ারিং। 

এরপরের পদ্ধতিটি হচ্ছে ফেসবুক পাসওয়ার্ড রিসেট:

 হে বন্ধুরা এই পদ্ধতি দিয়ে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক হয়ে যেতে পারে। আমরা সকলে জানি যে আমরা যখন ফেসবুকের পাসওয়ার্ড রিসেট করতে চাই তখন আমাদেরকে অপশন দেয়া হয়ে থাকে আমরা চাইলে মোবাইল  নাম্বার এর মাধ্যমে এবং আমাদের ইমেইলের মাধ্যমে আমরা আমাদের একাউন্ট রিকভার করতে পারব। আর যখন আমরা এই সিস্টেম গুলোতে সিলেক্ট করে এ ক্লিক করি  তখন ফেসবুক আমাদের মোবাইল নাম্বারে একটি কোড পাঠায় আর যদি ইমেইল সিলেট করি সে ক্ষেত্রে ইমেইলে একটি ইমেইল পাঠায়। আর এই কাজগুলো করেই আমরা আমাদের ফেসবুক পাসওয়ার্ড  রিসেট করতে পারি।

অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমরা আমাদের ফেসবুক একাউন্ট তৈরীর সময় আমাদের নিজেদের নাম্বার না দিয়ে অন্য দের নাম্বার দিয়ে দিই এবং আমরা যে ইমেইল টি ব্যবহার করি সেটিও আরেকজনের ইমেইল হয়ে থাকে।  তো এই ক্ষেত্রে আমাদের ভুলটা হচ্ছে আমরা যাহার মোবাইল নাম্বার ইউজ করছি অথবা যার ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করা হয়েছে সেই ব্যক্তি যদি চান তিনি কিন্তু আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট  এক্সেস করতে পারবেন।  তাই সে ক্ষেত্রে কিন্তু হ্যাকিং হওয়ার একটি সম্ভাবনা থেকেই যায়।

আর যাতে অন্য কিউ এই বিষয়টির সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য ফেসবুক একটি সিস্টেম চালু করেছে যেখানে ফেসবুক আপনার কাছ থেকে আপনার একটি আইডি কার্ডের ছবি আপলোড করতে বলে।  তাই আপনার আইডি কার্ডের ছবি কাউকে দেবেন না।  সে ক্ষেত্রে এই বিষয়টি  ব্যবহার করে সে কিন্তু আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট অ্যাক্সেস নিতে পারে অথবা হ্যাক করতে পারে। 

অনেক সময় দেখা যায়,  আমাদের ফেসবুক একাউন্টে যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে।  সে ক্ষেত্রে আমরা যারা ফেসবুক সম্পর্কে একটু ভালো বুঝে তাদেরকে বলে থাকি যে ভাই আমাকে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট একটু ঠিক করে দাও। সে ক্ষেত্রে যদি তিনি আপনার আইডি কার্ড চান আপনি তাকে আইডিকার্ড দেবেন না।  এই ভুলটি আপনি ভুলেও করবেন না। কারণ আপনার এনআইডি কার্ডের সাহায্যে আপনার যেকোন অ্যাকাউন্ট টি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। আর এই এনআইডি কার্ডের সাহায্যে হ্যাকার তাকে আপনি বলে দাবি করে থাকবে। আর ফেসবুক আপনি মনে করে তাকে এক্সেস দিয়ে দেবে কারণ ফেসবুক আপনি কি আপনি না সেটি কিন্তু দেখতে আসবে না। তাই এই বিষয়টি নিয়ে একটু কেয়ারফুল হবেন।

ফেসবুক হ্যাক করার জন্য অন্যতম আরেকটি অ্যাটাক এর নাম হচ্ছে Sim Swap Attack. 

সিম ছোয়াব অ্যাটাক হচ্ছে এমন একটি অ্যাটাক যেটির মাধ্যমে আপনার ফোনে যে সিম থাকে সেই সিমের নাম্বার টি অন্য একটি সিমে এক্সচেঞ্জ করা হয় বা রিপ্লেস করা হয়। আর তাই আমরা আমাদের ফোন হারিয়ে গেলে থানায় গিয়ে জিডি করি।  যাতে  করে অন্য কেউ সেই সিমটা আর ব্যবহার করতে না পারে। আর আপনিও জানেন আমিও জানি হ্যাকিং হচ্ছে এক ধরনের ক্রাইম। যদি সেটি আপনি ভাল কাজে ব্যবহার করতে না পারেন।

আর এই সিমটি যখন হ্যাকাররা রিপ্লেস করে নেবে তখন বুঝতেই পারতেছেন আপনার সিম নাম্বার দিয়ে যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট রয়েছে সেগুলো কিন্তু সে খুব সহজেই রিকভার রিসেট পাসওয়ার্ড করে নিতে পারবে। 

তো এখন আপনার করনীয় কি?  এখন আপনার করণীয় হচ্ছে আপনার যে মোবাইল নাম্বারটি রয়েছে  সেটি কখনোই  পাসওয়ার্ড রিকভার এর জন্য রাখবেন না।  সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার ইমেইলটি রয়েছে সেটিকে পাসওয়ার্ড রিকভার করার  অপশন হিসেবে রেখে দিতে পারেন। আপনি চাইলে আপনার টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন অপশনটি চালু রাখতে পারেন। 

তো বন্ধুরা আজকে আমাদের পোস্টটি এতোটুকুই। 

আর এখন আপনার অন্যতম কাজ হচ্ছে আমার এই পোস্টটিকে শেয়ার করা।  কেননা এই সচেতন শুধুমাত্র আপনি হলেই হবে না আপনার বন্ধুদেরকেও সচেতন করতে হবে।  তারা যদি হ্যাকিংয়ের শিকার হয় সেক্ষেত্রে দায়ভারটা কিন্তু আপনার থাকবে।  কারণ আপনি জেনেও তাকে সাহায্য করেননি। 

আর শেয়ার করার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে আপনার যখন কোনো একটি ফেসবুক একাউন্ট ফিশিং অ্যাটাক এর মাধ্যমে হ্যাকাররা হ্যাক করে ফেলবে।  তখন আপনাকে যারা বেশি বিশ্বাস করে  তাদের কাছে কিন্তু  হ্যাকাররা সেই ফিশিং লিংক পাঠিয়ে দিতে পারে আপনার হ্যাক হওয়া অ্যাকাউন্ট থেকে।  সে ক্ষেত্রে সেই মানুষগুলো আপনার কোনো গুরুত্বপূর্ণ লিংক ক্লিক করে এবং সেখানে তারাও ফিশিং অ্যাটাক এর শিকার হয়ে যায়। তাই এই পোস্টটিকে শেয়ার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

তো বন্ধুরা ধন্যবাদ সবাইকে।

Our Social Media Links:

আমাদের ইমেইল ঠিকানা: admin@hackingotechnology.com

অথবা akulmiya304@gmail.com

Facebook: https://www.facebook.com/akulvai.304/

Twitter: https://twitter.com/AkulVai

Instagram: https://www.instagram.com/akulvai/

YouTube: https://www.youtube.com/channel/UCs6BkgpPV_a19F2JN3zEpgw

No comments

Powered by Blogger.