৪ বছরের এই বাচ্চাটি মারা যায় কিন্তু মরতে মরতে যে ৩ টি কথা বলে যায় তা বিশ্ববাসীকে হতভম্ব করে দেয়
হ্যালো বন্ধুরা,
আমাদের প্রত্যেকের উচিত প্রতিনিয়ত আমাদের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা। কেননা তিনি আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন। আমরা এই পৃথিবীতে ক্ষণিকের জন্য এসেছি। আমরা আমাদের এই পৃথিবীতে রঙ্গমঞ্চের অভিনয় এর পরে আমরা আমাদের অন্তিম বিশ্বের জমাবো। আর এই স্বল্প পরিসরের পৃথিবীতেই কিছু মানুষের সাথে এমন কিছু ঘটে যায় যা কেউ কল্পনাই করতে পারে না। হ্যাঁ ঠিকই শুনছেন। কারণ একটি ৪ বছরের বাচ্চা মারা গিয়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য জীবিত হয়ে মাকে I love You বলে আবার মারা গিয়েছিল। আর এমন ঘটনা আরো অনেক ঘটেছে। আজকে আমরা এই ঘটনাগুলো নির্মম ইতিহাস জানতে চলেছি। যা জানলে আপনি আপনার জীবনকে উপলব্ধি করতে পারবেন। ফুসফুস ভর্তি করে প্রতিনিয়ত নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাতে বাধ্য হবেন।
তো চলুন সেই সকল ঘটনার ইতিহাস জেনে আসা যাক,
এই ঘটনাটি ঘটেছিল নলেন নামক ৪ বছরের এই শিশুটির সঙ্গে।
আমরা সবাই জানি মা-বাবার কাছে সন্তানের সবচেয়ে দুর্বিষহ বিষয়টি হলো সন্তানের অসুস্থতা। যখন কারো সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তাদের মা-বাবা তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে আর করোনাকালীন এই সময়ে এই দৃশ্য প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়। ৪ বছরের বাচ্চাটার সঙ্গে ঠিক এরকমই হয়েছিল। বাচ্চাটি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
বাচ্চাটির বাবা-মা মনে করে এটা স্বাভাবিক কোনো সর্দি কাশি। কোন কিছুতেই এটা যেন ঠিক হচ্ছিল না। তারা তাদের সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়। আর সেখানে ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করে দেখতে পায়, এটা কোন স্বাভাবিক জ্বর আর সর্দি নয়। এটা অনেক বড় একটি রোগ, আপনারা নিশ্চয়ই ক্যান্সারের নাম শুনেছেন, আর এটা কেমন সেটাও জানেন।
তবে বাচ্চাটির ক্যান্সার হয়নি। তার হয়েছিল ক্যান্সারের মত অন্য একটি বেদনাদায়ক অসুখ। যা ক্যান্সারের মতোই শরীর মধ্যে আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করতে থাকে। ডাক্তারদের এ ধরনের কথাগুলো শুনে মা বাবার উপরে যেন আসমান ভেঙ্গে পড়ে। বাবা মা কোন কিছু ভেবে উঠতে পারছিল না। সেই সাথে তাদেরকে অসংখ্য পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, অনেক অর্থ ব্যয় করে নানা রকম ট্রিটমেন্ট করার পর বাচ্চাটি সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু তখনও বাচ্চাটি হাসপাতালেই ছিল। সে সেখানেই খেলাধুলা করত। অনেক হাসিখুশি ছিল এবং সবকিছু নরমাল চলছিল।
কিন্তু হঠাৎ একদিন বাচ্চাটির অবস্থা আবার খারাপ হয়ে যায়। মুমূর্ষ রোগীর মত কাতরাতে শুরু করে। আর এবার চেকআপ করে ডাক্তাররা বুঝতে পারে। বাচ্চাটি শরীরে ক্যান্সারের সংক্রমণ ঘটেছে। সবাই জানতো এই মুহূর্তে নলেন কে অপারেশন করা নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। কিন্তু অপারেশন না করলেও তার মৃত্যু নিশ্চিত। তাই এই বাচ্চাটির মা বাবা বাচ্চাটিকে ব্যথা না দিতে অপারেশন না করানোর সিদ্ধান্ত নেয়। সবাই বুঝতে পারে নলেন আর অল্প কিছুদিনের জন্য পৃথিবীতে বেঁচে আছে। তাই মা-বাবা তাদের মুহূর্তগুলো তাদের একমাত্র সন্তানের সঙ্গে উপভোগ করতে থাকে। বাচ্চাটির সঙ্গে নানা রকম খেলাধুলা করতে থাকে।
আর সেসাথে সৃষ্টিকর্তার কাছে বাচ্চাটির প্রাণভিক্ষা চেয়ে বারবার প্রার্থনা করতে থাকে। বাচ্চাটির বাবা আমার বাচ্চাটাকে সুস্থ করার জন্য, যা করার ছিল তার প্রায় সবকিছুই করেছিল। বাচ্চাটিকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করছে। কিন্তু তারা জানত এভাবেই তাদের বাচ্চাটি একদিন তাদেরকে ছেড়ে চলে যাবে। একদিন নলেন খেলছিল। আর তার মা গোসল করতে ছিল। গোসল করে ফিরে এসে দেখে তার বাচ্চাটি এভাবে পড়ে আছে।
এটা দেখে মায়ের নিঃশ্বাস যেন বন্ধ হয়ে আসে। মা ভীষণভাবে কান্না করতে থাকে। কিন্তু হঠাৎ করে নলেন দাঁড়িয়ে যায়। জানেন তার সন্তান তখন কি বলে, কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলে ওঠে “Mom, I love You” এটা বলে সে আবার শুয়ে পড়ে।
এরপর সে আর কোনদিন জেগে ওঠেনি। নলেন তার মা-বাবাকে ছেড়ে অনন্তকালের পথযাত্রী হয়ে গেছে। কিন্তু তার মা বাবাকে বলে গিয়েছিল তার অন্তিম সংস্কারে যারা আসবে তারা যেন হাসিমুখে আসে। আর বাচ্চাটির ইচ্ছা পূরণ করার জন্য তার শেষকৃত্যে যারা এসেছিল, তারা সবাই হাসিমুখেই এসেছিল। যদিও তাদের হৃদয়টা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছিল। বাচ্চাটির মা বাবা না চাইলেও তাদেরকে তার কবরের কাছে গিয়ে হাসতে হয়েছিল। শুধুমাত্র বাচ্চাটির শেষ ইচ্ছা পূরণের জন্য। বাচ্চাটির আরো একটা ইচ্ছা ছিল, তার মা পুলিশ অফিসার হবে। শেষ পর্যন্ত মা তার বাচ্চাটির আশা পূরণ করেছিল। নলেনের মা নলেন মারা যাওয়ার দুবছর পরেই, একজন দুর্ধর্ষ পুলিশ অফিসার হয়ে ওঠে।
চলুন আরো একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা জেনে নেয়া যাক,
একজন 11 বছরের বাচ্চা মারা যাওয়ার পূর্ব মুহুর্তে তার মাকে এমন কথা বলে গিয়েছিল যে, জীবিত থাকা কোনো শিশুই তার মাকে এমন কথা বলতে পারে না। লিয়াং ইউ নামক 11 বছরের বাচ্চা তার বাবা-মায়ের সাথে চীনের শিনজিয়াংয়ে বাস করত। বাচ্চাটির মৃত্যু হয়েছিল ব্রেইন ক্যান্সারে। বাচ্চাটির বলে যাওয়া শেষ কথাগুলোর জন্য তার ট্রিটমেন্ট করা ব্যর্থ হওয়া ডাক্তাররা এভাবেই তাকে রেস্পেক্ট দিয়ে শেষ বিদায় দিয়েছিল।
বাচ্চাটি যখন প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে তখন তার মা-বাবাকে বলতো তার মাথায় ব্যথা হচ্ছে। প্রথমদিকে সবাই এটাকে স্বাভাবিক ব্যথা মনে করে। কিন্তু হঠাৎ একদিন তার মাথা ব্যাথা প্রচন্ডভাবে বেড়ে যায়। তখন তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চেক আপের পর ডাক্তারেরা আঁতকে ওঠে। তারা ভাবতেই পারেনি যে, ১১ বছরের বাচ্চার ব্রেইনে কিভাবে ক্যান্সার হয়। লিয়াংয়ের ব্রেনের ক্যান্সারের উপর রিচার্জ করে জানা যায় তখন লিয়াং ফোরথস্টেযে ছিল। আর এমন অবস্থায় কোনো ভাবেই লিয়াংকে বাঁচানো সম্ভব ছিল না। ডাক্তারদের অনিচ্ছাসত্ত্বেও লিয়াংয়ের মা-বাবাকে এসব কথা বলতে বাধ্য হয়। আর বাচ্চাটিও এটা কোন ভাবে জেনে যায়।
আপনার কি মনে হয়, একজন ১১ বছরের বাচ্চা তার ক্যান্সার হয়েছে শুনে কেমন রিয়াক্ট করতে পারে? আসলে লিয়াং ছিল অন্য বাচ্চাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা। সে যেন সব কিছুই বুঝতো। লিয়াং তার মাকে জড়িয়ে ধরে এমন কিছু কথা বলেছিল, যা তার মা কোনদিনও ভাবতে পারিনি, লিয়াং ঠান্ডা মাথায় তার মাকে বলে,
এবার কল্পনা করুন একজন মা, এ কথাগুলো শোনার পর কি করতে পারে অথবা কি ভাবতে পারে? আসলে একজন মায়ের এমন অনুভূতি কোন দিন বলে প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এটা কেবলমাত্র সেই অনুভব করতে পারবে, যার সাথে এমনটা হয়েছে। মা এই কথাগুলো শুনে লিয়াংয়ের আগেই যেন লাশ হয়ে যায়। তবে শেষ পর্যন্ত তার শেষ ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছিল।
চলুন আরেকটি নির্মম কাহিনী জেনে নেয়া যাক,
16 বছরের একটি কিশোর তার বন্ধুদের সঙ্গে সব সময় খেলা দেখা করতো। একদিন তার বন্ধুর সঙ্গে লড়াই করে সে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পড়ে গিয়ে তারা অনেকটা অংশ কেটে যায়। আর কাটা যাওয়া অংশ থেকে অবিরত রক্ত বের হতে থাকে। ক্ষতটা এতটাই গভীর ছিল যে সেই কিশোর জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তার ক্ষতস্থানে ইট পাথরের টুকরো ঢুকে গিয়েছিল। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তাররা জানায় তার ক্ষত অনেক গভীর আর এটা অপারেশন করে বের করতে হবে। আরব বের করার কিছুক্ষণ আগে সেই কিশোর তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে, আমি তোমাকে খুব ভালোবাসি বাবা যদি আমার সাথে খুব খারাপ কিছু হয়ে যায়, তাহলে আমাকে মাফ করে দিও। তার মাকে ফোন করে সে বলে, মা আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি, আর এটা বলতে বলতে সে অঝোরে কান্না শুরু করে। তারপর চার দিন একটানা সার্জারি করার পর, সেই কিশোর ঠিক হয়ে যায়। সে নিজে অনুধাবন করতে পারে, সৃষ্টিকর্তা তাকে একটা জীবন দিয়েছে। আর এই জীবনটা শুধুমাত্র নিজের জন্য ব্যয় না করে, আশেপাশের অনেকের জন্য হয়তোবা তার ব্যয় করা উচিত।
এই পোস্টটি ভালো লাগলে আপনার বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন। এবং কমেন্ট করে আমাদেরকে উৎসাহিত করতে পারেন। আপনার একটি কমেন্ট আমাদের পুরো পোস্টের আনন্দটুকু কে আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। যার কারণে আমরা পরবর্তীতে আরো পোষ্ট করার জন্য উৎসাহিত হই। আপনি যদি এই ধরনের পোস্ট গুলো পছন্দ করে থাকেন তাহলে আমাদের https://hackingotechnology.com ওয়েবসাইট থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
তো দেখা হচ্ছে আগামী এপিসোডে, ততক্ষণ পর্যন্ত ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সবাইকে।
Our Social Media Links:
আমাদের ইমেইল ঠিকানা: admin@hackingotechnology.com
Facebook: https://www.facebook.com/akulvai.304/
Twitter: https://twitter.com/AkulVai
Instagram: https://www.instagram.com/akulvai/
YouTube: https://www.youtube.com/channel/UCs6BkgpPV_a19F2JN3zEpgw
No comments