Header Ads

Header ADS

কিভাবে ইউটিউব থেকে কপিরাইট স্টাইক সরাবেন?


আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।  আজকে আমি কথা বলব ইউটিউব এর বহুল চর্চিত একটি বিষয় কপিরাইট স্ট্রাইক নিয়ে। 

কপিরাইট স্টাইক ইউটিউবারদের কাছে দুঃস্বপ্নের মতো একটি বিষয়। সে বড় ইউটিউবার হউক বা ছোট  ইউটিউবার  প্রত্যেকেই একে সমানভাবে ভয় পায়। এজন্যই হয়তো বা কপিরাইট বিষয়টি ইউটিউবারদের কাছে এতটাই ভয়ের। কিন্তু তারপরেও অনেক ইউটিউবারের ইউটিউব এর পলিসি সম্পর্কে অতোটা জ্ঞান না থাকার কারণে বহু ইউটিউব চ্যানেলে অহেতুক স্ট্রাইক চলে আসে। অনেক ইউটিউব চ্যানেল সাসপেন্ড হয়ে যায় বা ডিলিট হয়ে যায়। 

অনেক ইউটিউব চ্যানেলের মনিটাইজেশন ডিজেবল হয়ে যায় বা মনিটাইজেশন এনাবেল হয় না। বা অনেকেই একটি স্ট্রাইক আসার কারণে চ্যানেলটিকে এই ডিলিট করে দেয়। এইসব বিষয়ের কথা মাথায় রেখেই আজকে আমি এই পোস্টটিতে কথা বলব। 

যেখানে আমি সহজভাবে আপনাদেরকে বুঝিয়ে বলব যে

১/  কপিরাইট বিষয়টি আসলে কি?

২/ কোন কোন ভিডিওর কারণে আমাদের ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসে?

৩/ কপিরাইট স্টাইক আসলে আমাদের চ্যানেলে কি কি ক্ষতি হয়?

৪/ কপিরাইট স্ট্রাইক আসার পর আমাদের কি কি করা উচিত?   কপিরাইট এর থেকে বাঁচার জন্য আমাদের কি কি করা উচিত?

৫/ কপিরাইট সম্পর্কিত যে সকল সাধারণ সমস্যা সচরাচর দেখা যায় সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর আমি সব শেষে গিয়ে দিব।

তাই বলতেছি এই পোস্টটি পুরোটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। কারণ এই পোস্টটি আপনাদের সকলের জন্য দরকারি একটি পোস্ট। আপনি যদি একজন নতুন ইউটিউবার হয়ে থাকেন এই পোষ্ট টি আপনার জন্য আর আপনি যদি একজন পুরাতন ইউটিউবার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।

আর এই পোস্টটিতে যে যে সব ধরনের কথাগুলো বলা হয়েছে এগুলো সবগুলোই টিউবের লেটেস্ট নির্দেশনা অনুসরণ করে করা হয়েছে।

১/ কপিরাইট স্ট্রাইক বিষয়টি আসলে কি?

সহজ ভাষায় বলতে গেলে কপিরাইট স্ট্রাইক হচ্ছে এক ধরনের শাস্তি। আর এই শাস্তিটা ইউটিউব সে সকল চ্যানেলকেই দেয় যেসকল চ্যানেল ইউটিউবের কপিরাইট পলিসি লংঘন করে। মানে আপনি যখন অন্যের ভিডিওর কিছু অংশ বা পুরো ভিডিওটি তাদের অনুমতি ছাড়া নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করেন তখন আপনি যার ভিডিও ব্যবহার করেছেন সে ইউটিউব এর কাছে আপনার নামে একটি রিপোর্ট করবে। ইউটিউব আপনার সেই ভিডিওটি দেখবে এবং যদি সেটি কপিরাইট হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনার ভিডিওটিকে ইউটিউব ডিলিট করে দেবে।  এবং তার শাস্তি হিসেবে আপনার চ্যানেলে একটি স্ট্রাইক দিয়ে দেবে। একেই বলা হয় কপিরাইট স্ট্রাইক।

২/ কোন কোন কারণে আমাদের ভিডিওতে কঁপিরাইট ক্লাইম আসে?

প্রথম ভিডিও

 আপনি যদি অন্যের ভিডিও নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করেন  সেটি হোক এক সেকেন্ডের জন্য বা এক মিনিটের জন্য আপনার ভিডিওতে কপিরাইট কিলেম আসতে পারে। পুরো ভিডিওটি যদি আপনার করেন তাহলে তো আসতে পারেই। 

দ্বিতীয়তঃ মিউজিক

কপিরাইটের  সিক্সটিন পার্সেন্ট  আসে শুধুমাত্র  মিউজিক এর জন্য। ম্যাক্সিমাম কপিরাইট স্ট্রাইক মিউজিক এর জন্যই আসে। আপনি যদি অন্যের ভিডিওর মিউজিক আপনার ভিডিওতে ইউজ করেন এক মিনিট ইউজ করুন বা 10 মিনিট ইউজ করুন আপনার ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে। 

তৃতীয়তঃ   থাম্বনেইল

আপনি যদি অন্যের ভিডিওতে থাম্বনেইল নিজের ভিডিওতে ব্যবহার করেন। অথবা অন্যের ভিডিও থামনেল হুবহু কপি করে নেন তাহলে আপনার দুটো কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে। এবং এটা আসেও।

চতুর্থঃ  গুগোল ইমেজ

আপনি গুগল থেকে এমন একটি ইমেইজ ভাল লাগল এবং সেটা ডাউনলোড করে নিলেন। সেটিকে আপনি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করলেন। বা সেটিকে আপনি আপনার ভিডিওর থামনেলে এবার ইউজ করেন। তাহলে সেই ব্যক্তি যদি দেখতে পাই যে কঁপিরাইট ওনার ওই মিস্টার তাহলে সে চাইলে সে কিন্তু আপনার ভিডিওতে কপিরাইট স্টাইক দিতে পারে। এবং দেয় ও। এরকম কপিরাইট স্ট্রাইক কম আসে কিন্তু আসে। আসার চান্স তা থেকেই যায়। তাই চেষ্টা করবেন গুগল থেকে এরকম রেনডম ইমেজ আপনাদের ভিডিওতে ব্যবহার না করার জন্য।

  পঞ্চমঃ  স্ক্রিনশট 

আপনি যদি অন্যের ভিডিওর স্ক্রিনশট আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করেন বা অন্যের ভিডিওর থামনেল এর স্ক্রিনশট আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করেন। তাহলেও আপনার ভিডিওতে কপিরাইট স্ট্রাইক আসতে পারে। 

প্রধানত এই পাঁচটি কারণ এর জন্যই কপিরাইট স্ট্রাইক আসে। এতক্ষণ কপিরাইট আসার জন্য যে জিনিস গুলোর কথা বলা হলো এই জিনিসগুলো যদি আপনার ভিডিওতে এক সেকেন্ড ব্যবহার করেন বা এক মিনিট ব্যবহার করেন কপিরাইট  স্ট্রাইক কিন্তু আসতে পারে।

এবার আপনি বলবেন আমি যদি কুড়ি সেকেন্ডের কম অন্যের ভিডিও আমার ভিডিওতে ব্যবহার করি। বা 30 সেকেন্ডের কম অন্যের চ্যানেলের ভিডিও আমার চ্যানেলে ব্যবহার করি। তাহলে কেন কপিরাইট স্ট্রাইক আসবে সেটা তো ফেয়ার ইউজ পড়ে?

তাদেরকে আমি বলতে চাই যে, 2020 এর যে লেটেস্ট কপিরাইট পলিসি  ইউটিউব এর আছে সেখানেই ইউটিউব কিলিয়ার করে লিখেছে। এরকম একদমই নয় যে আপনি যদি 30 সেকেন্ডের কম ভিডিও আপনার চ্যানেলে ব্যবহার করেন তাহলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসবেনা। এখন ফেয়ার ইউজ টা অন্য রকম ভাবে ডিফাইন করা হয়েছে। তারা আলাদা টার্মস এন্ড কন্ডিশন আছে। সেগুলি ব্যবহার করার। তার জন্য আমি আলাদা একটি পোস্ট বানাবো কারণ সেটি একটি বড় বিষয়। 

এবার আমরা দেখব যে আমাদের চ্যানেলে কপিরাইট স্ট্রাইক আসলে আমাদের কি কি ক্ষতি হয়?

প্রথমঃ  আপনার ভিডিওতে যদি ফাস্ট কপিরাইট স্টাইক আসে, তাহলে ভয় পাবার কোনই প্রয়োজন নেই। আপনার চ্যানেল যদি মনিটাইজেশন না হয়ে থাকে, আপনি যদি মনিটাইজেশনের জন্য পাঠান তাহলে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন হতে পারে। এতে মনিটাইজেশন না পাবার কোনই সম্ভাবনা নেই। যদি আপনার ভিডিও কোন ঝামেলা না হয় তাহলে কপিরাইট স্ট্রাইক থাকার পরেও আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন হতে পারে। 

এরপর 90 দিনের মধ্যে যদি আপনার চেনেলের সেকেন্ড কপিরাইট  স্ট্রাইক আসে। তাহলে হয়ত আপনার চ্যানেলে যদি মনিটাইজেশন অন হয়ে থাকে সেটা ডিজেবল হয়ে যাবে। আপনার চ্যানেল যদি মনিটাইজেশন না হয়ে থাকে এবং আপনি যদি মনিটাইজেশনের জন্য রিভিউ পাঠান তাহলে হয়তো আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন হবে না। হয়তোবা আপনার চ্যানেলের লাইভ স্ট্রিমিং অফ করে দেয়া হবে। 

90 দিনের মধ্যে যদি আপনার চেনেলের থার্ড কপিরাইট স্ট্রাইক এসে থাকে। তাহলে আপনার চ্যানেল থেকে সব ভিডিও ডিলিট করে দেয়া হবে। এবং আপনার চ্যানেলকে সাসপেন্ড করে দেয়া হবে। আর ওই জিমেইলে যত ইউটিউব চ্যানেলের আছে সব সাসপেন্ড করে দেয়া হবে। শুধু এই নয় যে আপনার শুধুমাত্র ওই চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবে।  ওই জিমেইল এর আন্ডারে যতগুলো ইউটিউব একাউন্ট আছে সবগুলোকে সাসপেন্ড করে দেয়া হবে। তাই এই জিনিসটা অনেক ড্যাঞ্জারাস এবং ভয়ঙ্কর জিনিসটাকে মাথায় রাখবেন। 

90 দিনের মধ্যে যেন তিনটি কোভিদ স্ট্রাইক না আসে সে দিকে খেয়াল রাখবেন।  যদি তাহলে আপনার সবকিছু শেষ হয়ে যাবে।

ধরুন আপনার চ্যানেলের প্রথম কপিরাইট স্ট্রাইক চলে এসেছে।  তো এখন আপনি কি করবেন? 

প্রথম অপশনঃ submit a Counter Notification

আপনি যদি মনে করেন যে আপনার ভিডিওতে ভুলবশত কপিরাইট স্ট্রাইপ দেয়া হয়েছে। তাহলে আপনি তার জন্য একটি কাউন্টার নোটিফিকেশন সাবমিট করতে পারেন এবং বলতে পারেনি এটা ভুলবশত হয়েছে। ভাই আপনি যে ভিডিওটি আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করেছেন সেটি ফেয়ার ইউজ এ পরেছে। তো যখন আপনি এটি সাবমিট করবেন তখন ইউটিউব টিম আপনার মেসেজটি কে দেখবে এবং তারা আবার রিভিউ করবে আপনার ভিডিওটি। তারা চেক করে আবার দেখবে তারা যদি দেখেন যে আপনার ভিডিওটি ফেয়ার ইউজ এ পড়েছে তাহলে তারা আপনার  ভিডিও কপিরাইট স্ট্রাইক তুলে নেবে।

দ্বিতীয় অপশনঃ Get a Retraction

মানে যে আপনার ভিডিওতে কবি রাইট স্ট্রাইক দিয়েছে বা জে ওই ভিডিওটি  মালিক তার সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারেন এবং বলতে পারেন যে প্লিজ আমার চ্যানেলটিকে কপিরাইট স্টাইক তুলে নিন। 

তৃতীয় অপশনঃ Wait for it to Expire

তার মানে আপনাকে 90 দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। নব্বই দিন পর অটোমেটিক্যালি আপনার একাউন্ট থেকে ওই কপিরাইট স্ট্রাইক টি এক্সপায়ার হয়ে যাবে। তাই এত চিন্তার কোন কারণ নেই। তারপর থেকে আপনি এমন কোন কনটেন্ট আপলোড করবেন না। যেটার কারণে আপনার মনে হয় যে এর পরে আবারও আপনার চ্যানেলে  কপিরাইট স্ট্রাইক আসবে। 

No comments

Powered by Blogger.