৮ম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ ১ম সপ্তাহ বিষয় বাংলা শিরােনাম চারপাশের পশুপাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ
৮ম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২
১ম সপ্তাহ
বিষয়ঃ বাংলা
শিরােনামঃ চারপাশের পশু-পাখির প্রতি দায়িত্ব নিরূপণ।
ক. পশু-পাখির তালিকা তৈরিঃ
খ. পশু-পাখির প্রতি আচরণঃ প্রতিটি পশু-পাখি মানবজাতির ন্যায় আল্লাহ তাআলার পরিবারের সদস্যভূক্ত ও নিরন্তরভাবে তারা আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, “তুমি কি দেখনা যে, নভােমন্ডল ও ভূমন্ডলে যারা আছে, তারা এবং উড়ন্ত পক্ষীকুল তাদের পাখা বিস্তর করতঃ আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘােষনা করে? প্রত্যেকেই তার যােগ্য ইবাদত এবং পবিত্রতা ও মহিমা ঘােষণা ও পদ্ধতি জানে-(আল-কুরআন, ২৪:৪১)।
পশু-পাখি মানবজাতির খাদ্য-পুষ্টি, পােষাক-পরিচ্ছেদ, পরিবহন, শিক্ষা, চিকিৎসা, নিরাপত্তা, পরিবেশ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন উপকারে ব্যবহার করে থাকে।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন “তারা কি লক্ষ্য করে না যে, তাদের জন্যে আমি নিজ হাতে সৃষ্ট বস্তুদের মধ্যে সৃষ্টি করেছি গৃহপালিত জন্ত এবং তারাই এগুলাের অধিকারী। আমি এগুলােকে তাদের হাতে অসহায় করে দিয়েছি, ফলে এদের কতক তাদের বাহন এবং কতক তারা ভক্ষণ করে। তাদের জন্যে এগুলােতে আছে বহু উপকারিতা আর আছে পানীয় বস্তু।
পশু-পাখি আল্লাহর নির্দেশে মানবজাতির বিভিন্ন প্রয়ােজন পূরণ করার পাশাপাশি জীবন পর্যন্ত দিয়ে থাকে। কিন্তু মানবজাতি বিভিন্ন সময়ে তাদের সাথে অমানবিক আচরণ করে। তাদের প্রজনন, লালন-পালন, পরিবহণ, মালামাল বহন, ক্রয়-বিক্রয়, জবাই ও জবাই এর পরবর্তী পর্যায়েও তাদের সাথে নিষ্ঠুর আচরণ করে থাকে। ইসলামী শরি'আহ মানবজাতিকে পশু-পাখির সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর তাদের থেকে উপকার গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেছে।
গ. অতিথির স্মৃতি' গল্পে নির্মমতার চিত্রঃ
আলােচ্য গল্পের লেখক সুস্থতা লাভের উদ্দেশ্যে দেওঘর এসেছিলেন। একদিন বাড়ি ফেরার পথে একটি কুকুরের সান্নিধ্যে এসে কুকুরটি সাথে সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। কুকুরটিকে তিনি অতিথির মর্যাদা দেন এবং নানাভাবে যত্ন করেন। প্রতিদানে কুকুরটিকে ছেড়ে আসার যন্ত্রনায় দগ্ধ হন লেখক।
‘অতিথির স্মৃতি' গল্পে লেখকের সঙ্গে অতিথির গড়ে ওঠা ভালােবাসার সম্পর্ক দিক থেকে বিবেচনা করতে হবে। গল্পে লেখক এককভাবে অতিথির প্রতি ভালােবাসা প্রকাশ করেননি। অতিথিও লেখকের প্রতি ভালােবাসা দেখিয়েছে। একটি ইতর প্রাণীর প্রতি লেখকের ভালােবাসা যখন অতিথিকে লেখকের প্রতি আকৃষ্ট করেছে, তখন লেখকের দেখাশুনার কাজে নিয়ােজিতদের আচরণ অতিথির প্রতি ঠিক তার বিপরীত। তাদের আচরণ এতই নিষ্ঠুর ছিল যে অতিথি তাদের দেখলে পালিয়ে যেত।
এ গল্পের যে দিকগুলাে ভালাে করে বুঝে পড়তে হবে। তা তুলে ধরা হলাে।
দেওঘরে লেখকের বাসার চারদিকের পরিবেশ, সকালটা লেখকের যেভাবে কাটে, গাছের পাখিগুলােকে কেন্দ্র করে লেখকের অনুভূতি ও উদ্বেগ, কাজ করতে যাওয়া মধ্যবিত্ত ও নিবিত্ত ঘরের মেয়েদের অবস্থা, তাদের পীড়া বা অসুখ, দরিদ্র| ঘরের মেয়েটিকে দেখে লেখকের দুঃখ হওয়ার কারণ, অতিথির সঙ্গে লেখকের দেখা হওয়া এবং তাকে বাড়িতে আনার কারণ, চাকরকে ডেকে অতিথিকে খাওয়ার দেয়ার কথা বলার কারণ। পরের দিন অতিথিকে দেখে লেখকের অনুভূতি, লেখকের সঙ্গে অতিথির সখ্য যেভাবে গড়ে ওঠে, অতিথির প্রতি বাড়ির চাকর ও মালিবউযের অত্যাচার, অতিথির চোখে জলের কারণ, লেখকের কথায় অতিথির মনােভাব, লেখককে নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য অতিথির অপেক্ষার কারণ, বাড়ি ফেরার সময় অতিথির তৎপরতার বর্ণনা, বাড়ি ফেরার আগ্রহ মনের মধ্যে খুঁজে না পাওয়া ইত্যাদির মধ্যে গল্পের নির্মমতা ফুটে উঠে।
ঘ. পশু পাখির প্রতি দায়িত্বঃ
নিচে পশু পাখির প্রতি আমাদের দায়িত্ব গুলাে তুলে ধরা হলাে:
১। কোথায় আহত বা রোগাক্রান্ত পশু-পাখি দেখলে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসা এবং তাদের সেবা যত্ন করা।
২। ক্ষুধার্ত পশু পাখিকে খাবার দেওয়া।
৩। অন্যায়ভাবে পশু পাখিকে আঘাত না করা এবং অন্যদের পশু পাখিকে আঘাত করা থেকে বিরত রাখা।
৪। পশু পাখির অভয়ারণ্য তৈরি করা।
৫। পশু পাখি যাতে নির্ভয়ে চলাফেরা করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
৬। পশু পাখি শিকার করা থেকে বিরত থাকা এবং অন্য কেউ বিরত রাখা।
No comments