মোবাইল দিয়েই ভিডিও এডিটিং! 📱 : Digital Marketing Masterclass - Episode 02
আমাদের আগের পোস্টে আমরা শিখেছিলাম আপনি কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য কনটেন্ট হিসাবে পোস্টার তৈরি করতে পারবেন বা স্ট্যাটিক কোন একটি ইমেজ তৈরী করতে পারবেন। তারপর অনেক কমেন্ট এসেছে সেই পোস্টটিতে। যেভাবে বুঝলাম ইমেজ আসলো তারপর এখনতো ভিডিওর যুগ। ইউটিউবে ভিডিও, ইনস্টাগ্রামে ভিডিও, ফেসবুকে ভিডিও ফেসবুকের ভিডিও। ফেসবুকে আবার ওয়াচ নামে আরেকটি ট্যাব আছে। এখনতো ভিডিও মার্কেটিং এর জামানা। আমাদেরকে ভিডিও মার্কেটিং টি শেখান।
ভিডিও মার্কেটিং শেখাতে গেলে সবার আগে যে জিনিসটি আসে। কিভাবে একটি ভিডিও তৈরি করতে হবে? সেটা শিখতে হবে। এখন অবশ্যই আমি আপনাকে এখন একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা ধরে। ডিএসএলআর ক্যামেরার একটা একটা করে ভিডিওগ্রাফি শিখিয়ে। তারপর প্রিমিয়ার প্রো তে এডিট শিখিয়ে। আফটার ইফেক্টস এনিমেশন শিখিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসতে পারি।
কিন্তু সেটার জন্য তিনটা আলদা আলদা কোর্স দরকার। একটা ভিডিওগ্রাফির কোর্স দরকার। একটা প্রিমিয়ার প্রো তে এডিটিং এর জন্য কোর্সের দরকার। একটা আফটার ইফেক্টস এর এনিমেশনের কোর্স দরকার।
যেভাবে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করবেন : Digital Marketing Masterclass – Episode 01
এখন তিনটা কোর্স করতে করতে আপনার হয়তো কয়েক মাস চলে যাবে। সেটার ধৈর্য হয়তো অনেকেরই নাই। আর যদি ধৈর্য থাকে তাহলে আপনি তো অবশ্যই শিখে নিতে পারবেন।
আজকে আমি আপনাকে একটা শর্টকাট শিখাতে চাচ্ছি। যেভাবে আমি আমার ভিডিও গুলো এডিট করি। আমি আমার প্রতিষ্ঠান ভিডিও গুলো এডিট করি। এবং প্রচুর মানুষকে আমি এই বিষয়গুলো শিখিয়ে দিয়েছি। তারা তাদের প্রতিষ্ঠানের ভিডিওগুলো এই সফটওয়্যারটির মাধ্যমে এডিট করে থাকে।
এবং সত্যি কথা এই সফটওয়্যার দিয়ে এডিট করা ভিডিও মানুষেরা বুঝতেই পারেনা যে এটা আসলে একেবারে কম্পিউটারের পাওয়ার পয়েন্ট নিয়ে সুন্দর করে এডিট করে, প্রিমিয়ার প্রো ঘষামাজা করে, আফটার ইফেক্টস এনিমেশন দিয়ে, ঝকঝকা করে সিনেমার মতো করা হয়েছে নাকি মোবাইল দিয়ে করা হয়েছে! তার কারণ হলো এটা খুবই পাওয়ারফুল একটি সফটওয়্যার। এবং এই সফটওয়্যার দিয়ে তৈরিকৃত ভিডিও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ হয়েছে। ফেসবুকে গেলে আপনি হয়তো একটু পরে বুঝতে পারবেন যে আচ্ছা আমি কোন অ্যাপটির কথা বলছি।
তাই আমি আপনাকে step-by-step বুঝাতে চাই যে পুরো বিষয়টি কিভাবে কাজ করে। আমি এখন আমার মোবাইলে একটা ভিডিও রেকর্ড করে আপনাদেরকে দেখাতে চাই।আমার ভিডিও করা শেষ হয়েছে এখন আমাদের কি ভিডিও টি এডিট করতে হবে।
এখন কিভাবে এডিট করবেন? একটা অ্যাপ রয়েছে যার নাম হল InShOt। আপনি InShOt অ্যাপ এ যাবেন। অ্যাপে যাওয়ার পরে এখানে দেখবেন ভিডিও নামে একটি অপশন রয়েছে।
ভিডিওতে ক্লিক করে নিউ ভিডিও প্রেস করবেন। আপনার মেমোরির সবগুলো ভিডিও এখানে চলে আসবে। তারপর আপনি যে ভিডিওটি কি এডিট করবেন সেই ভিডিওটি সিলেক্ট করবেন।
সিলেট করার পর প্রেস করলে দেখবেন ভিডিওটি আপনার নতুন ইন্টারফেসই খুলে গেছে।
আপনি চাইলে ভিডিওটি ট্রিম করতে পারেন। কিভাবে? এখানে দেখুন ট্রিম নামে একটি অপশন রয়েছে। ভিডিওর যদি কোন জায়গায় কাট করতে হয় তাহলে ট্রিম অপশনটি দিয়ে আপনি সেই জায়গাটা কেটে ফেলতে পারে।
আপনি চাইলে এখান থেকে ফিল্টার ইউজ করতে পারবেন। আপনি ফিল্টার কিভাবে ইউজ করবেন? ফিল্টার এর উপর ক্লিক করুন দেখুন এইখানে অনেক ধরনের ফিল্টার রয়েছে যে ফিল্টারটি আপনার পছন্দ হবে সেই ফিল্টার এর উপর একটি ক্লিক করলেই ফিল্টারটি আপনার ভিডিওতে এড হয়ে যাবে।
এখন আপনি চাইলে এখানে যত ধরনের অপশন রয়েছে সবগুলো দিয়ে আপনার ভিডিওটি কে এডিট করতে পারবেন।
এখন আমরা একটা একটা বিষয় করে শিখব প্রথমে আসি ক্যানভাস।
ভিডিওতে আপনি দেখবেন নিচে অনেকগুলো অপশন রয়েছে এখানে রয়েছে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট এর জন্য ভিডিওর সাইজ। রয়েছে ইউটিউব ভিডিওর জন্য আপনার ভিডিওর সাইজ। আরো দেখতে পাবেন টিকটকের জন্য ভিডিও বানাতে গেলে যে সাইজ এর প্রয়োজন হয় সেটি এখানে রয়েছে। আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো একটি সাইজ আপনি এখান থেকে সিলেক্ট করে নিতে পারবেন।
এরপরে রয়েছে মিউজিক, আপনি চাইলে আপনার ভিডিওতে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ব্যবহার করতে পারবেন। মিউজিক সিলেট করার জন্য তাদের অ্যাপের ভিতরে অনেকগুলো মিউজিক দেয়া আছে আপনি যে কোন একটি ব্যবহার করতে পারবেন। এখন আমাদের ভিডিওতে মিউজিক এড করা হয়ে গেল।
এরপর আপনি চাইলে ছবি বা স্টিকার ইউজ করতে পারবেন আপনার ভিডিওতে। এই স্টিকারগুলো বা ছবিগুলো আপনি অনেক ছোট করে আপনার ভিডিওর যেকোনো কোনায় রেখে দিতে পারেন। এরপর আপনার টাইমলাইনে আপনি ভিডিওর কোন জায়গায় সেইটুকু করতে চাচ্ছেন ছবি টুকুকে রাখতে চাচ্ছেন সেটুকু সিলেট করে দিতে পারেন।
এরপর রয়েছে লেখা বা টেক্সট দেওয়ার সুবিধা। আপনি চাইলে আপনার ভিডিওর যেকোনো জায়গায় লেখা বসিয়ে রাখতে পারেন। বিভিন্ন ধরনের টেক্সট যুক্ত করতে পারেন। আমাদের ভিডিওতে এখন টেক্সট দেয়া হয়ে গেল। আপনি চাইলে আপনার যতগুলো ইচ্ছা কতগুলো লেখা আপনার ভিডিওতে দিতে পারবেন।
এরপর আপনি চাইলে আপনার ভিডিওর শেষে একটি কাল স্ক্রিন বা সাদা স্কীন যোগ করতে পারেন যেখানে আপনার অডিয়েন্সকে লেখা থাকবে ধন্যবাদ থ্যাংকস ফর ওয়াচিং। এই জিনিসটি যাতে ভিডিও শেষে দেখায় সেজন্য আপনি ব্ল্যাক স্ক্রিন ক্লিক করে অ্যাড করে নিতে পারেন।
এছাড়াও আপনি চাইলে আরো অনেকগুলো কাজ করতে পারবেন। আপনি চাইলে ভিডিওটি স্পিড বাড়িয়ে দিতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার ভিডিওর ইসপিরিট কমাতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার সাউন্ড বাড়িয়ে দিতে পারবেন।
আবার আপনার ভিডিওর সাউন্ড কমিয়ে নিতে পারবেন। অনেকগুলো অপশন রয়েছে। কিন্তু আমি যে বেসিক টুলস গুলো আপনাকে দেখালাম এগুলো যদি আপনি আয়ত্ত করে ফেলতে পারেন তাহলে আপনার ভিডিওটি অনেক একটি প্রফেশনাল মানের হয়ে যাবে।
এখন আপনি আপনার ভিডিওটিকে সেভ করতে পারবেন। একদম উপরে দেখুন সেভ নামে একটি অপশন রয়েছে এটির উপর ক্লিক করুন। এরপর আপনার ভিডিও রেজুলেশন সিলেক্ট করে দিন। আপনি এইচডি চাচ্ছেন নাকি ফুল এইচডি যাচ্ছেন নাকি টুকে যাচ্ছেন নাকি ফোরকে যাচ্ছেন সে জিনিসটি সিলেক্ট করে দিন।
এরপর একটু করে সময় নেবে আপনার ভিডিওটিকে আপনার গ্যালারিতে সেভ করার জন্য। এরপর আপনি দেখতে পারবেন যে আপনার ভিডিওটি সম্পূর্ন রেডি হয়ে গেছে।
এখন আপনি চাইলে আপনার নিজের করা একটি ভিডিওকে শুধুমাত্র আপনার মোবাইলে কোন ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া নিজ হাতে কয়েক মিনিটের মধ্যে এডিট করে আপলোড করে ফেলতে পারবেন। এটাই ছিল আসলে খুব সহজে নিজের মোবাইল দ্বারা ইন্টার্নেট কানেকশনস ছাড়া ইজিলি ভিডিও এডিটিং এর সহজ কৌশল। আশা করি এই পোস্টটি আপনার খুব ভালো লেগেছে। এখন আপনি যেটা করতে পারেন আপনার মোবাইলে InShOt নামক অ্যাপটি নামিয়ে খুব সহজেই আপনার ভিডিওগুলো কি ইডিট করা শুরু করে দিন। এবং আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ভিডিওগুলোকে রেডি করা শুরু করুন।
যেভাবে মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক ডিজাইন করবেন : Digital Marketing Masterclass – Episode 01
ফেসবুকে আমরাঃ https://www.facebook.com/akulvai.304/
টুইটারে আমরাঃ https://twitter.com/AkulVai
ইউটিউব আমরাঃ https://www.youtube.com/channel/UCs6BkgpPV_a19F2JN3zEpgw
ইনস্টাগ্রাম আমরাঃ https://www.instagram.com/akulvai/
No comments